হোম | সাম্প্রতিক বিশ্ব
  • বিস্তারিত খবর

ভারতের জন্য ট্রাম্প ২.০ কতটা আশা, কতটা আশঙ্কার?

/ ২৫-০১-২০২৫
ভারতের জন্য ট্রাম্প ২.০ কতটা আশা, কতটা আশঙ্কার?

গত ৬ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই বাকি দুনিয়ায় যে দেশটি সবচেয়ে বেশি উল্লাসে ফেটে পড়েছিল, তা নিঃসন্দেহে ভারত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে উচ্ছ্বসিত অভিবাদন জানাতে ও নতুন অংশীদারির অঙ্গীকার করতে এতটুকুও দেরি করেননি।

তার ঠিক আড়াই মাস পর ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প রীতিমাফিক আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন, চার বছরের ব্যবধানে আবার তার ঠিকানা হয়েছে হোয়াইট হাউস। 'মাগা', অর্থাৎ 'মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন' থিমের জয়ধ্বনিতে মুখরিত হয়েছে তার দ্বিতীয় অভিষেক।

কিন্তু ট্রাম্পের বিজয়ের পর দিল্লিতে যে ধরনের উৎসাহ দেখা যাচ্ছিল এবং বিশেষ করে ভারতের হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলো ভারত-মার্কিন সমীকরণের যে নতুন সম্ভাবনায় বুক বাঁধছিলেন তা এখন অনেকটাই স্তিমিত।

বরং আগামী দিনে ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে দিল্লিতে ক্ষমতার অলিন্দে আশঙ্কা ও অনিশ্চয়তার মেঘ ক্রমশ ঘনিয়ে উঠেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দেখা যায়নি, সেখানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সরাসরি মি. মোদীকে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কি না, তা নিয়েও ধোঁয়াশা আছে।

নরেন্দ্র মোদী ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে 'পার্সোনাল কেমিস্ট্রি' নিয়ে ভারতের মিডিয়াতে গত কয়েক বছর ধরে বিপুল পরিমাণ নিউজপ্রিন্ট আর এয়ারটাইম খরচ হয়েছে, এরপর আম ভারতীয়দের জন্য এটা একটা বড় ধাক্কা তো বটেই!বস্তুত ২০২০ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য লড়েন, তার আগের কয়েক মাসে নরেন্দ্র মোদীই একমাত্র বিশ্বনেতা, যার সঙ্গে তিনি দু'দুটো প্রকাশ্য জনসভায় অংশ নেন।

২০১৯-এর সেপ্টেম্বরে টেক্সাসের হিউস্টনে 'হাউডি মোদী' অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী তো ট্রাম্পের হাত ধরে 'আব কি বার ট্রাম্প সরকার' স্লোগান দিতেও দ্বিধা করেননি।

ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রী বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিদেশি কোনো নেতার হয়ে নির্বাচনি জয়ধ্বনি দিচ্ছেন, সেটাও ছিল এক নজিরবিহীন ঘটনা।

আর তার ঠিক মাসপাঁচেকের মধ্যেই গুজরাটের আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদী নিজের নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামে হাজার হাজার দর্শকের সামনে সংবর্ধনা জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে।

এছাড়া আরও বহুবার নরেন্দ্র মোদীর বিখ্যাত 'হাগ' বা 'আলিঙ্গন কূটনীতি'রও স্বাদ পেয়েছেন মি. ট্রাম্প।

কিন্তু দুই নেতার মধ্যে তখন যে ধরনের প্রকাশ্য ঘনিষ্ঠতা, বন্ধুত্ব ও মাখামাখি চোখে পড়ত – গত কয়েক মাসে কিন্তু তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। সেপ্টেম্বরে নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরেও দু'জনের দেখা হয়নি।

নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদী তাকে অভিনন্দন জানাতে ফোন করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু এরপর আর দু'জনের মধ্যে সরাসরি কথাবার্তা হয়েছে বলেও কোনো প্রমাণ নেই।

  • বিবিসি নিউজ বাংলা, দিল্লি

3 Comments:

  1. Lorem Ipsum has been the industry’s standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen.

    1. Lorem Ipsum has been the industry’s standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen.

    Lorem Ipsum has been the industry’s standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked