মুঠোফোনে বন্দি জীবন। আট থেকে আশি সবার চোখ সারাদিন আটকে হাতের চৌকো বাক্সে। বর্তমানে শিশুরাও রীতিমতো আসক্ত মোবাইল ফোনে। মোবাইল থেকে সন্তানকে দূরে রাখাই বাবা-মায়েদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ইনস্টা রিল, বাড়ির খুদেও সারাদিন ধরে ঘাঁটাঘাটি করছে ফোন। ফোন থেকে দূরে রাখলেও বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে তারা। বাচ্চাদের ফোনের নেশায় রীতিমতো চিন্তায় বাবা মায়েরা।
কিন্তু বর্তমানের জীবনধারাতেও অবধারিতভাবে সামিল হয়ে গিয়েছে ফোন। শিক্ষা হোক বা বিনোদন, শিশুরা সব কিছুতেই ফোনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। স্কুল, কলেজগামী কিশোর-কিশোরী এবং যুবক-যুবতীদের পাশাপাশি, ২-৩ বছর বয়সী খুদেরাও ফোনের নেশায় বুঁদ। মোবাইলেই পড়া, মোবাইলেই খেলা। কেউ ফোন ছাড়া মুখে তোলে না খাবার, তো কারও ফোন হাতে পেলেই কান্না। অনেক বাবা-মাই সন্তানের এহেন ফোনের নেশায় বিব্রত।
আবার জোর করে বাচ্চাদের ফোন থেকে দূরে রাখাও কঠিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, মোবাইলের নেশা বাচ্চাদের মানসিক বিকাশের ব্যাপক ক্ষতি করছে। সেইসঙ্গে অত্যধিক স্ক্রিন টাইমের কারণে চোখেরও দফারফা হচ্ছে।
ই পাঁচ টিপস মানলে বাচ্চারা হাসিমুখে নিজেরাই বিদায় জানাবে ফোনকে।
১. রুটিন বদলানসন্তানদের জন্য স্ক্রিন টাইমের জন্য একটি নির্দিষ্ট রুটিন সেট করা গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চাদের বলুন, তাদের টিভি, ফোন হোক বা ট্যাব, স্ক্রিনে কোনও কিছু দেখার জন্য বরাদ্দ সময় মাত্র ১ ঘণ্টা। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের একটু কঠোর হতে হবে।
২. শিশুদের মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হল তাদের খেলাধুলা, বই পড়া বা সৃজনশীল কাজে জড়িত রাখা। সন্তানকে পার্কে খেলতে নিয়ে যান। সাইকেল চালানোও শেখাতে পারেন। নাচ, সাঁতার, আউটডোর গেম বা অন্যান্য কার্যকলাপের মতো যে কোনও একটি ক্লাসে ভরতি করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার সন্তান কী করতে ভালবাসছে, তার দিকেও খেয়াল রাখুন।
৩. যখনই বাবা-মা সন্তানদের সঙ্গে থাকবেন, ফোনকে নিজেদের থেকে দূরে রাখুন। বাচ্চার সঙ্গে কথা বলুন, খেলুন, গল্প বলুন। এতে করে শিশুরাও নিজে থেকেই ফোন থেকে দূরে থাকবে।
৪. বাচ্চাদের বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে দিন। খেলনা দেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন এই খেলনাগুলো যেন তাদের বয়স অনুযায়ী হয়। শিশুরা তাদের বয়সের চেয়ে ছোট বা বড় খেলনা নিয়ে খেলতে পছন্দ করে না।
৫. শিশুদের ছোট ছোট দায়িত্ব দিন। ঘরের কাজে ওদেরও নিজের সঙ্গী করুন। জন্মদিন, ফাংশন ইত্যাদিতে কিছু ছোট বিশেষ কাজ দিন। গাছে জল দেওয়া, খেলনা গুছিয়ে রাখা, আলমারি পরিষ্কারে সাহায্য, ঘর সাজান। এমনই বিভিন্ন আপনার সঙ্গেই আপনার খুদেকেও কাজে লাগান। ভালোবেসেই দায়িত্ব নেবে ছোটরা।
Lorem Ipsum has been the industry’s standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen.
Lorem Ipsum has been the industry’s standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen.
Lorem Ipsum has been the industry’s standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen.