বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষায় সংগীত শিক্ষক নিয়োগের সাম্প্রতিক সরকারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, আলেম-ওলামা, সমাজকর্মী ও অভিভাবকবৃন্দ। তাদের মতে, সংগীতের নামে অপসংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া শিশুদের কোমল মন ও নৈতিক বিকাশের জন্য মারাত্মক হুমকি।
গতকাল (১১ সেপ্টেম্বর’ ২৫, বৃহস্পতিবার, বিকাল ৩টায়) রাজধানীর জাতীয় শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে দাওয়াতি ও মানবিক সংগঠন পয়ামে ইনসানিয়াত বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় ও গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন— ‘দীর্ঘ বছরের পর বছর ধরে প্রাইমারি স্কুলগুলোতে একজন নূরাণি শিক্ষক নিয়োগের জন্য দেশের উলামায়ে কেরাম দাবি করে আসছেন। আলেম-উলামা ও অভিভাবকদের দীর্ঘদিনের দাবি উপেক্ষা করে ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে গানের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ জনআকাঙ্ক্ষা পরিপন্থি। এর মাধ্যমে অপসংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার যে অপচেষ্টা চলছে, তা দেশের ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এখনই সঠিক পদক্ষেপ না নিলে প্রজন্মের মধ্যে নৈতিক শূন্যতা দেখা দেবে।’
বক্তারা আরও বলেন— ‘বর্তমানে অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত ধর্মীয় শিক্ষক নেই। ফলে শিক্ষার্থীরা মৌলিক ধর্মীয় জ্ঞান ও নৈতিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ একটি নৈতিক, সুশৃঙ্খল ও দায়িত্বশীল জাতি গঠনের জন্য প্রাথমিক স্তরেই ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। তাই অবিলম্বে প্রাথমিক শিক্ষায় সংগীত শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে পর্যাপ্ত ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।’
বৈঠকে উত্থাপিত মূল প্রস্তাবনা :
০১. প্রাথমিক শিক্ষায় সংগীত শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
০২. প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপক্ষে একজন আলেম ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
০৩. পাঠ্যক্রমে ইসলামী ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলকভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
০৪. শিশুদের উপযোগী ইসলামিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম চালু করতে হবে।
০৫. অভিভাবক, আলেম ও শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে প্রাথমিক শিক্ষার নতুন রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।
পয়ামে ইনসানিয়াত বাংলাদেশের আমির ড. মাওলানা শহীদুল ইসলাম ফারুকী’র সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক মাওলানা মহব্বত হুসাইনের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন মাওলানা রুহুল আমীন সাদী। সম্মানিত আলোচক হিসেবে আলোচনা পেশ করেন মাওলানা আব্দুর রাযযাক নদভী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শফিউল মাওলা (এনডিসি, পিএসসি), মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, শায়খ মাওলানা আব্দুল মতিন আযহারী, ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী, ড. মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, ড. এসকে মাহতাব উদ্দীন, ড. ঈসা মুহাম্মদ, আহসানুল্লাহ শামীম, মুফতি শারাফাত হুসাইন, মাওলানা সানাউল্লাহ খান, মোনায়েম খান, মুহসিন উদ্দিন মাহমুদ, মুফতি ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, মুফতি যুবায়ের আহমদ আল ওয়ারিসী, মুফতি ইয়াছিন আহমদ জিহাদি, মোঃ হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
Lorem Ipsum has been the industry’s standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen.
Lorem Ipsum has been the industry’s standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen.
Lorem Ipsum has been the industry’s standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen.